বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪ ............ কিছু রোমঞ্চকর তথ্য ও ফিক্সচার


প্রাথমিক তথ্য
---------
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ (ইংরেজি: 2014 FIFA World Cup) হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ২০তম আসর। এটি একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। ২০১৪ সালের ১৩ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
এটি হবে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলের আয়োজিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সেই সাথে মেক্সিকো, ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানির পর ব্রাজিল হবে পঞ্চম দেশ যারা প্রত্যেকে দুইবার করে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর এটি হবে আমেরিকা মহাদেশে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। সেই সাথে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় আয়োজিত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আমেরিকায় আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপেই ব্রাজিল প্রতি আট বছর পর পর ইউরোপে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঐতিহ্য ভঙ্গ করতে যাচ্ছে।
১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া সবকয়টি দল এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিন আমেরিকায় ৪ বার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে যার সবকয়টিই জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকান কোন দল।
পুরস্কারঃ
-------
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল অন্তত ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারসরূপ পাবে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দল পাবে যথাক্রমে ৩৫ মিলিয়ন ও ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৬ দলের পর্বে হেরে যাওয়া দলগুলো পাবে ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পাবে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বকাপ আসরের জন্য ক্লাব থেকে বিদায় নেওয়ার সময় খেলোয়াড়রা যেসব ক্লাবে খেলে থাকেন সেসব ক্লাবকে খেলোয়াড়দের বীমা এবং অন্যান্য খরচ বাবদ দেওয়া হবে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট, ৫৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ অর্থ খরচ করবে ফিফা, যা একটি নতুন রেকর্ড। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে ফিফা খরচ করেছিল ৪২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বলঃ
-----
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল আডিডাসের ব্রাজুকা। বিশ্বকাপে বল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয় আডিডাসকে, যারা ১৯৭০ বিশ্বকাপ থেকে এই দায়িত্ব পালন করে আসছে।
বাদ্যযন্ত্রঃ
------
প্রতিযোগিতায় একটি অফিসিয়াল বাদ্যযন্ত্রেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার নাম কাশিরলা। এটি টোকা দিয়ে বাজানো যায় এমন একটি বাদ্যযন্ত্র যা তৈরি করেছেন ব্রাজিলীয় সুরকার কারলিনিয়োস ব্রাউন। এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা আফ্রিকান ভুভুজেলার চেয়ে মৃদু ধ্বনি সৃষ্টি করতে পারে।
প্রযুক্তিঃ
------
এবারই প্রথমবারের মত কোন বিশ্বকাপ আসরে গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিগত বিশ্বকাপকে বলা যায় এই প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুঘটক। কেননা, বিগত বিশ্বকাপের ১৬ দলের, পর্বে জার্মানি ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলায় রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে ইংল্যান্ডের একটি গোল বাতিল হয়ে যায়।
প্রথমবারের মত কোন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ভ্যানিশিং স্প্রে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। এটি পানি দিয়ে তৈরি এক ধরণের স্প্রে যা ব্যবহারের এক মিনিটের মধ্যেই অদৃশ্য হয়ে যায়। খেলা চলাকালে প্রতিপক্ষ দলের জন্য ১০ গজের লাইন চিহ্নিত করতে এটি ব্যবহৃত হবে। এছাড়া, ফ্রি-কিকের স্থান চিহ্নিত করতেও রেফারিরা এটি ব্যবহার করবেন।
র‍্যাংকিং পদ্ধতি
-------------
সব খেলা থেকে মোট অর্জিত পয়েন্ট;
গ্রুপের সবকয়টি খেলায় গোল ব্যবধান;
গ্রুপের সবকয়টি খেলায় মোট গোলের সংখ্যা;
যদি উপরোক্ত তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে দুই বা ততোধিক দলের গোল সংখ্যা সমান হয়, তাহলে তাদের র‍্যাংকিং নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে নির্ধারিত হবে:
গ্রুপে সংশ্লিষ্ট দলের মধ্যে খেলায় অর্জিত পয়েন্ট;
গ্রুপ পর্বের খেলায় সংশ্লিষ্ট দলের মধ্যে গোল ব্যবধান;
গ্রুপ পর্বের খেলায় সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মোট গোল;
ফিফা সাংগঠনিক কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন
একনজরে দেখে নিই ২০১৪ বিশ্বকাপের ফিক্সচার।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
কোন দল কোন গ্রুপে
--------------------------
গ্রুপ– এ : • ব্রাজিল • ক্যামেরুন • মেক্সিকো • ক্রোয়েশিয়া
গ্রুপ– বি : • স্পেন • হল্যান্ড • চিলি • অস্ট্রেলিয়া
গ্রুপ– সি : • কলম্বিয়া • আইভরি কোস্ট • জাপান • গ্রিস
গ্রুপ– ডি : • উরুগুয়ে • ইংল্যান্ড • ইতালি • কোস্টারিকা
গ্রুপ- ই : • সুইজারল্যান্ড • ফ্রান্স • ইকুয়েডর • হন্ডুরাস
গ্রুপ– এফ : • আর্জেন্টিনা • নাইজেরিয়া • ইরান • বসনিয়া
গ্রুপ– জি : • জার্মানি • ঘানা • যুক্তরাষ্ট্র • পর্তুর্গাল
গ্রুপ- এইচ : • বেলজিয়াম • আলজেরিয়া • দক্ষিণ কোরিয়া • রাশিয়া

ফিক্সচার :
-------------
প্রথম রাউন্ড
গ্রুপ – এ
-------------
১২ জুন, ২০১৪ ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া রাত ২ টা
১৩ জুন, ২০১৪ মেক্সিকো বনাম ক্যামেরুন রাত ১০ টা
১৭ জুন, ২০১৪ ব্রাজিল বনাম মেক্সিকো রাত ১ টা
১৮ জুন, ২০১৪ ক্যামেরুন বনাম ক্রোয়েশিয়া রাত ১ টা
২৩ জুন, ২০১৪ ক্যামেরুন বনাম ব্রাজিল রাত ২ টা
২৩ জুন, ২০১৪ ক্রোয়েশিয়া বনাম মেক্সিকো রাত ২ টা

গ্রুপ – বি
-------------
১৩ জুন, ২০১৪ স্পেন বনাম নেদারল্যান্ডস রাত ২ টা
১৩ জুন, ২০১৪ চিলি বনাম অস্ট্রেলিয়া ভোর ৪ টা
১৮ জুন, ২০১৪ স্পেন বনাম চিলি ভোর ৪ টা
১৮ জুন, ২০১৪ অস্ট্রেলিয়া বনাম নেদারল্যান্ডস রাত ১০ টা
২৩ জুন, ২০১৪ অস্ট্রেলিয়া বনাম স্পেন রাত ১০ টা
২৩ জুন, ২০১৪ নেদারল্যান্ডস বনাম চিলি রাত ১০ টা

গ্রুপ – সি
-------------
১৪ জুন, ২০১৪ কলম্বিয়া বনাম গ্রিস রাত ১০ টা
১৪ জুন, ২০১৪ আইভরি কোস্ট বনাম জাপান ভোর ৪ টা
১৯ জুন, ২০১৪ কলম্বিয়া বনাম আইভরি কোস্ট রাত ১০ টা
২০ জুন, ২০১৪ জাপান বনাম গ্রিস ভোর ৪ টা
২৪ জুন, ২০১৪ জাপান বনাম কলম্বিয়া রাত ২ টা
২৪ জুন, ২০১৪ গ্রিস বনাম আইভরি কোস্ট রাত ২ টা

গ্রুপ – ডি
-------------
১৪ জুন, ২০১৪ উরুগুয়ে বনাম কোস্টারিকা রাত ১ টা
১৫ জুন, ২০১৪ ইংল্যান্ড বনাম ইতালি সকাল ৭ টা
১৯ জুন, ২০১৪ উরুগুয়ে বনাম ইংল্যান্ড রাত ১ টা
২০ জুন, ২০১৪ ইতালি বনাম কোস্টারিকা রাত ১০ টা
২৪ জুন, ২০১৪ ইতালি বনাম উরুগুয়ে রাত ১০ টা
২৪ জুন, ২০১৪ কোস্টারিকা বনাম ইংল্যান্ড রাত ১০ টা

গ্রুপ – ই
-------------
১৫ জুন, ২০১৪ ফ্রান্স বনাম হন্ডুরাস রাত ১ টা
২০ জুন, ২০১৪ সুইজারল্যান্ড বনাম ফ্রান্স রাত ২ টা
২১ জুন, ২০১৪ হন্ডুরাস বনাম ইকুয়েডর ভোর ৪ টা
২৫ জুন, ২০১৪ হন্ডুরাস বনাম সুইজারল্যান্ড রাত ২ টা
২৫ জুন, ২০১৪ ইকুয়েডর বনাম ফ্রান্স রাত ২ টা

গ্রুপ – এফ
-------------
১৬ জুন, ২০১৪ আর্জেন্টিনা বনাম বসনিয়া ভোর ৪ টা
১৬ জুন, ২০১৪ ইরান বনাম নাইজেরিয়া রাত ১ টা
২১ জুন, ২০১৪ আর্জেন্টিনা বনাম ইরান রাত ১০ টা
২২ জুন, ২০১৪ নাইজেরিয়া বনাম বসনিয়া ভোর ৪ টা
২৫ জুন, ২০১৪ নাইজেরিয়া বনাম আর্জেন্টিনা রাত ১০ টা
২৫ জুন, ২০১৪ বসনিয়া বনাম ইরান রাত ১১ টা

গ্রুপ – জি
-------------
১৬ জুন, ২০১৪ জার্মানি বনাম পর্তুগাল রাত ১১ টা
১৭ জুন, ২০১৪ ঘানা বনাম যুক্তরাষ্ট্র ভোর ৪ টা
২১ জুন, ২০১৪ জার্মানি বনাম ঘানা রাত ১ টা
২২ জুন, ২০১৪ যুক্তরাষ্ট্র বনাম পর্তুগাল রাত ১ টা
২৬ জুন, ২০১৪ যুক্তরাষ্ট্র বনাম জার্মানি রাত ১০ টা
২৬ জুন, ২০১৪ পর্তুগাল বনাম ঘানা রাত ১০ টা

গ্রুপ – এইচ
-------------
১৭ জুন, ২০১৪ বেলজিয়াম বনাম আলজেরিয়া রাত ১০ টা
১৮ জুন, ২০১৪ রাশিয়া বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ভোর ৪ টা
২২ জুন, ২০১৪ দক্ষিণ কোরিয়া বনাম আলজেরিয়া রাত ১০ টা
২৩ জুন, ২০১৪ বেলজিয়াম বনাম রাশিয়া ভোর ৪ টা
২৬ জুন, ২০১৪ দক্ষিণ কোরিয়া বনাম বেলজিয়াম রাত ২ টা
২৬ জুন, ২০১৪ আলজেরিয়া বনাম রাশিয়া রাত ২ টা
---------------------------------------
২য় রাউন্ড
-------------
২৮ জুন, ২০১৪ ১ এ-১ বনাম বি-২ রাত ১০ টা
২৮ জুন, ২০১৪ ২ সি-১ বনাম ডি-২ রাত ২ টা
২৯ জুন, ২০১৪ ৩ বি-১ বনাম ডি-২ রাত ১০ টা
২৯ জুন, ২০১৪ ৪ ডি-১ বনাম সি-২ রাত ২ টা
৩০ জুন, ২০১৪ ৫ ই-১ বনাম এফ-২ রাত ১০ টা
৩০ জুন, ২০১৪ ৬ জি-১ বনাম এইচ-২ রাত ২ টা
১ জুলাই, ২০১৪ ৭ এফ-১ বনাম ই-২ রাত ১০ টা
১ জুলাই, ২০১৪ ৮ এইচ – ১ বনাম জি-২ রাত ২ টা

কোয়ার্টার ফাইনাল
--------------------------
৪ জুলাই, ২০১৪ ৯ ম্যাচ ১ জয়ী বনাম ম্যাচ ২ জয়ী রাত ২ টা
৪ জুলাই, ২০১৪ ১০ ম্যাচ ৫ জয়ী বনাম ম্যাচ ৬ জয়ী রাত ১০ টা
৫ জুলাই, ২০১৪ ১১ ম্যাচ ৩ জয়ী বনাম ম্যাচ ৪ জয়ী রাত ২ টা
৫ জুলাই, ২০১৪ ১২ ম্যাচ ৭ জয়ী বনাম ম্যাচ ৮ জয়ী রাত ১০ টা

সেমি ফাইনাল
--------------------------
৮ জুলাই, ২০১৪ ১৩ ম্যাচ ৯ জয়ী বনাম ম্যাচ ১০ জয়ী রাত ২ টা
৯ ‍জুলাই, ২০১৪ ১৪ ম্যাচ ১১ জয়ী বনাম ম্যাচ ১২ জয়ী রাত ২ টা

৩য় স্থান নির্ধারণী
-------------
১২ জুলাই, ২০১৪ ১৫ ম্যাচ ১৩ পরাজিত বনাম ম্যাচ পরাজিত ১৪ রাত ২ টা

ফাইনাল
-------------
১৩ জুলাই, ২০১৪
বিশ্বকাপের কিছু রোমঞ্চকর তথ্যঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
আমরা দেখতে যাচ্ছি এর ২০ তম আসর।১৯৩০ সালে শুরু হয়ে চলতে চলতে ১৯ টা আসর শেষ করে ২০১৪ সালে এসে ব্রাজিল হচ্ছে ২০ তম আসর।
এর মধ্যে বিশ্বকাপ ফুটবল তৈরি করেছে নানা ইতিহাস, নানা রেকর্ড।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এর কিছু রেকর্ড ও ইতিহাস...............।
প্রথম আয়োজক দেশ : উরুগুয়ে
প্রথম বিজয়ী : উরুগুয়ে
সর্বোচ্চ শিরোপা বিজয়ী দেশ : ব্রাজিল(৫ বার শিরোপা)
সর্বোচ্চ রানার্স-আপ : জার্মানি (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২)
শীর্ষ গোলদাতা : রোনালদো (ব্রাজিল) ১৫ টি
দ্রুততম গোল : হাকান শুকুর (তুরস্ক)
বেশিবিশ্বকাপে অংশনেয়া খেলোয়াড় : Antonio Carbajal (মেক্সিকো ),
Lothar Matthäus (জার্মানি) ৫ বিশ্বকাপ
সর্বোচ্চ গোল্ডেন বুট বিজয়ী দেশ : ব্রাজিল(৫ বার)
সর্বোচ্চ গোল্ডেন বল বিজয়ী দেশ : ব্রাজিল(৭ বার)
সর্বোচ্চ Golden Glove বিজয়ী দেশ : উরুগুয়ে (৩ বার)
সর্বোচ্চ Fair Play Trophy Win দেশ : ব্রাজিল(৪ বার)
বিশ্বকাপ নিয়ে অতীতের কিছু রোমাঞ্চকর তথ্য নিচে উপস্থাপন করা হল।
* বিশ্বকাপের খেলা প্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচার হয় ১৯৫৪ সালে। এ সময় সারা বিশ্বে এটি ছিল সর্বাধিক প্রচারিত ক্রীড়া ইভেন্ট।
* ইতালীয় গোল রক্ষক এবং অধিনায়ক দিনো জফ হচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে নিজ দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৮২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে তিনি ইতালীয় দলের নেতৃত্ব দেন।
* বিশ্বকাপে প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারা খেলোয়াড়টি হচ্ছেন ব্রাজিলের ভালদেমার ডি ব্রিটো। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রথম আসরে তিনি ওই ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
* পেনাল্টি থেকে বিশ্বকাপে প্রথম গোলদাতা হচ্ছেন মেক্সিকোর ম্যানুয়েল রককুইটাস রোসাস। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি।
* কিংবদন্তী ক্রিকেট তারকা স্যার ভিব রিচার্ড হচ্ছেন একমাত্র ক্রীড়াবিদ যিনি ফুটবল ও ক্রিকেট উভয় বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করেছেন। ১৯৭৪ সালে এনিটগুয়ার হয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
* বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে প্রথম অংশগ্রহণকারী এশীয় দল হচ্ছে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ (বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া)। ১৯৩৮ সালে তারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে।
* আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথম খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মিশর। ১৯৩৮ সালে ইতালীতে অনুষ্ঠিত টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল দলটি।
* রাশিয়ার ওলেগ সালেংকো হচ্ছেন প্রথম কোন ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপের একম্যাচে ৫ গোল করার নজীর স্থাপন করেছেন। ১৯৯৪ সালে ক্যামেরুনের বিপক্ষে গোলগুলো করেছিলেন তিনি।
* ১৯৫০ সালে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল পরাজিত হবার শোকে অন্তত ৪ ব্যক্তি শোকাহত হয়ে মারা গেছে বলে খবর রয়েছে।
* একটি ম্যাচও না খেলে বিশ্বকাপের চুড়া›ত পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইসরায়েল। ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে তাদের ৫টি প্রতিপক্ষ দল নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। যাতে ইসরায়েল ওই সুবর্ণ সুযোগটি লাভ করে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত একটি প্লে অফ ম্যাচে খেলতে হয়েছে ইসরায়েলকে। ওয়েলসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে তারা হেরে যায়।
* ২০০৬ সালে জার্মানীতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচে রেফারী গ্রাহাম পুল একবার নয়, দুবার নয়, তিন দফা হলুদ কার্ড দেখানোর পর লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠছাড়া করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড় জসিপ সিমুনিককে।
* ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের আগমুহূর্তে চুরি হয়ে গিয়েছিল জুলিয়েস রিমেট (সাবেক বিশ্বকাপ) টফি। ওয়েস্ট মিনিস্টারের সেন্ট্রাল হল থেকে ট্রফিটি চুরি হয়। একটি ছোট্ট কুকুর শেষ পর্যন্তু চুরি যাওয়া ট্রফিটি সনাক্ত করে। পরে ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পুরস্কার হিসেবে ট্রফিটি একেবারেই দিয়ে দেয়া হয় ব্রাজিলকে। তবে ১৯৮৩ সালে সেটি আবারো চুরি হয়ে যায়, যেটি আজ পর্যন্ত আর উদ্ধার করা যায়নি।
* ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ম্যাচ চলাকালে মার্কিন ট্রেইনার রেফারীকে একটি প্রতিবাদ জানাতে সোজা মাঠের মাঝখান দিয়ে দৌড় দেন। এসময় তিনি তারা ডাক্তারী ব্যাগটি মাটিতে ছুড়ে মারেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত ক্লোরফর্মের বোতলটি ভেঙ্গে গেলে এর প্রভাবে মাঠে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
সাম্প্রতিক নৈপুণ্য বিচারে করা ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার আগে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের নাম। এখন পর্যন্ত পরিসংখ্যানে শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে আছে স্বাগতিক ব্রাজিল। এই তালিকায় তারপরই রয়েছে ইতালি ও জামার্নির নাম। সর্বাধিকবার রানার্সআপ হওয়ার রেকর্ডটি আবার জার্মানির দখলে। এরকম নানা রেকর্ডে ভরপুর ফুটবলের দীর্ঘ ইতিহাস।
সর্বাধিকবার বিশ্বকাপজয়ী দলঃ
১. ব্রাজিল ৫ বার (১৯৫৮,১৯৬২,১৯৭০,১৯৯৪,২০০২)
২. ইতালি ৪ বার (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২, ২০০৬)
৩. জার্মানি ৩ বার (১৯৫৪,১৯৭৪,১৯৯০)
৪. উরুগুয়ে ২ বার (১৯৩০ ১৯৫০)
আর্জেন্টিনা ২ বার (১৯৭৮ ১৯৮৬)
৫. ইংল্যান্ড ১ বার (১৯৬৬)
ফ্রান্স ১ বার (১৯৯৮)
স্পেন ১ বার (২০১০)
সবচেয়ে বেশি রানার্সআপ দলঃ
১. জার্মানি ৪ বার (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২)
২. নেদারল্যান্ড ৩ বার (১৯৭৪, ১৯৭৮, ২০১০)
৩. ব্রাজিল ২ বার (১৯৫০,১৯৯৮)
আর্জেন্টিনা ২ বার (১৯৩৯,১৯৯০)
ইতালি ২ বার (১৯৭০,১৯৯৪)
হাঙ্গেরি ২ বার (১৯৩৮,১৯৫৪)
শ্লোভাকিয়া ২ বার (১৯৩৪,১৯৬২)
৪. ফ্রান্স ১ বার (২০০৬)
সুইডেন ১ বার (১৯৫৮)
সংগ্রহীত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন