বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪ ............ কিছু রোমঞ্চকর তথ্য ও ফিক্সচার


প্রাথমিক তথ্য
---------
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ (ইংরেজি: 2014 FIFA World Cup) হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ২০তম আসর। এটি একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। ২০১৪ সালের ১৩ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
এটি হবে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলের আয়োজিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সেই সাথে মেক্সিকো, ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানির পর ব্রাজিল হবে পঞ্চম দেশ যারা প্রত্যেকে দুইবার করে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর এটি হবে আমেরিকা মহাদেশে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। সেই সাথে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় আয়োজিত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আমেরিকায় আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপেই ব্রাজিল প্রতি আট বছর পর পর ইউরোপে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঐতিহ্য ভঙ্গ করতে যাচ্ছে।
১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া সবকয়টি দল এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিন আমেরিকায় ৪ বার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে যার সবকয়টিই জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকান কোন দল।
পুরস্কারঃ
-------
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল অন্তত ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারসরূপ পাবে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দল পাবে যথাক্রমে ৩৫ মিলিয়ন ও ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৬ দলের পর্বে হেরে যাওয়া দলগুলো পাবে ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া দলগুলো পাবে ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বকাপ আসরের জন্য ক্লাব থেকে বিদায় নেওয়ার সময় খেলোয়াড়রা যেসব ক্লাবে খেলে থাকেন সেসব ক্লাবকে খেলোয়াড়দের বীমা এবং অন্যান্য খরচ বাবদ দেওয়া হবে ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট, ৫৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ অর্থ খরচ করবে ফিফা, যা একটি নতুন রেকর্ড। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে ফিফা খরচ করেছিল ৪২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বলঃ
-----
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল আডিডাসের ব্রাজুকা। বিশ্বকাপে বল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয় আডিডাসকে, যারা ১৯৭০ বিশ্বকাপ থেকে এই দায়িত্ব পালন করে আসছে।
বাদ্যযন্ত্রঃ
------
প্রতিযোগিতায় একটি অফিসিয়াল বাদ্যযন্ত্রেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার নাম কাশিরলা। এটি টোকা দিয়ে বাজানো যায় এমন একটি বাদ্যযন্ত্র যা তৈরি করেছেন ব্রাজিলীয় সুরকার কারলিনিয়োস ব্রাউন। এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা আফ্রিকান ভুভুজেলার চেয়ে মৃদু ধ্বনি সৃষ্টি করতে পারে।
প্রযুক্তিঃ
------
এবারই প্রথমবারের মত কোন বিশ্বকাপ আসরে গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিগত বিশ্বকাপকে বলা যায় এই প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুঘটক। কেননা, বিগত বিশ্বকাপের ১৬ দলের, পর্বে জার্মানি ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলায় রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে ইংল্যান্ডের একটি গোল বাতিল হয়ে যায়।
প্রথমবারের মত কোন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ভ্যানিশিং স্প্রে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। এটি পানি দিয়ে তৈরি এক ধরণের স্প্রে যা ব্যবহারের এক মিনিটের মধ্যেই অদৃশ্য হয়ে যায়। খেলা চলাকালে প্রতিপক্ষ দলের জন্য ১০ গজের লাইন চিহ্নিত করতে এটি ব্যবহৃত হবে। এছাড়া, ফ্রি-কিকের স্থান চিহ্নিত করতেও রেফারিরা এটি ব্যবহার করবেন।
র‍্যাংকিং পদ্ধতি
-------------
সব খেলা থেকে মোট অর্জিত পয়েন্ট;
গ্রুপের সবকয়টি খেলায় গোল ব্যবধান;
গ্রুপের সবকয়টি খেলায় মোট গোলের সংখ্যা;
যদি উপরোক্ত তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে দুই বা ততোধিক দলের গোল সংখ্যা সমান হয়, তাহলে তাদের র‍্যাংকিং নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে নির্ধারিত হবে:
গ্রুপে সংশ্লিষ্ট দলের মধ্যে খেলায় অর্জিত পয়েন্ট;
গ্রুপ পর্বের খেলায় সংশ্লিষ্ট দলের মধ্যে গোল ব্যবধান;
গ্রুপ পর্বের খেলায় সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মোট গোল;
ফিফা সাংগঠনিক কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন
একনজরে দেখে নিই ২০১৪ বিশ্বকাপের ফিক্সচার।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
কোন দল কোন গ্রুপে
--------------------------
গ্রুপ– এ : • ব্রাজিল • ক্যামেরুন • মেক্সিকো • ক্রোয়েশিয়া
গ্রুপ– বি : • স্পেন • হল্যান্ড • চিলি • অস্ট্রেলিয়া
গ্রুপ– সি : • কলম্বিয়া • আইভরি কোস্ট • জাপান • গ্রিস
গ্রুপ– ডি : • উরুগুয়ে • ইংল্যান্ড • ইতালি • কোস্টারিকা
গ্রুপ- ই : • সুইজারল্যান্ড • ফ্রান্স • ইকুয়েডর • হন্ডুরাস
গ্রুপ– এফ : • আর্জেন্টিনা • নাইজেরিয়া • ইরান • বসনিয়া
গ্রুপ– জি : • জার্মানি • ঘানা • যুক্তরাষ্ট্র • পর্তুর্গাল
গ্রুপ- এইচ : • বেলজিয়াম • আলজেরিয়া • দক্ষিণ কোরিয়া • রাশিয়া

ফিক্সচার :
-------------
প্রথম রাউন্ড
গ্রুপ – এ
-------------
১২ জুন, ২০১৪ ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া রাত ২ টা
১৩ জুন, ২০১৪ মেক্সিকো বনাম ক্যামেরুন রাত ১০ টা
১৭ জুন, ২০১৪ ব্রাজিল বনাম মেক্সিকো রাত ১ টা
১৮ জুন, ২০১৪ ক্যামেরুন বনাম ক্রোয়েশিয়া রাত ১ টা
২৩ জুন, ২০১৪ ক্যামেরুন বনাম ব্রাজিল রাত ২ টা
২৩ জুন, ২০১৪ ক্রোয়েশিয়া বনাম মেক্সিকো রাত ২ টা

গ্রুপ – বি
-------------
১৩ জুন, ২০১৪ স্পেন বনাম নেদারল্যান্ডস রাত ২ টা
১৩ জুন, ২০১৪ চিলি বনাম অস্ট্রেলিয়া ভোর ৪ টা
১৮ জুন, ২০১৪ স্পেন বনাম চিলি ভোর ৪ টা
১৮ জুন, ২০১৪ অস্ট্রেলিয়া বনাম নেদারল্যান্ডস রাত ১০ টা
২৩ জুন, ২০১৪ অস্ট্রেলিয়া বনাম স্পেন রাত ১০ টা
২৩ জুন, ২০১৪ নেদারল্যান্ডস বনাম চিলি রাত ১০ টা

গ্রুপ – সি
-------------
১৪ জুন, ২০১৪ কলম্বিয়া বনাম গ্রিস রাত ১০ টা
১৪ জুন, ২০১৪ আইভরি কোস্ট বনাম জাপান ভোর ৪ টা
১৯ জুন, ২০১৪ কলম্বিয়া বনাম আইভরি কোস্ট রাত ১০ টা
২০ জুন, ২০১৪ জাপান বনাম গ্রিস ভোর ৪ টা
২৪ জুন, ২০১৪ জাপান বনাম কলম্বিয়া রাত ২ টা
২৪ জুন, ২০১৪ গ্রিস বনাম আইভরি কোস্ট রাত ২ টা

গ্রুপ – ডি
-------------
১৪ জুন, ২০১৪ উরুগুয়ে বনাম কোস্টারিকা রাত ১ টা
১৫ জুন, ২০১৪ ইংল্যান্ড বনাম ইতালি সকাল ৭ টা
১৯ জুন, ২০১৪ উরুগুয়ে বনাম ইংল্যান্ড রাত ১ টা
২০ জুন, ২০১৪ ইতালি বনাম কোস্টারিকা রাত ১০ টা
২৪ জুন, ২০১৪ ইতালি বনাম উরুগুয়ে রাত ১০ টা
২৪ জুন, ২০১৪ কোস্টারিকা বনাম ইংল্যান্ড রাত ১০ টা

গ্রুপ – ই
-------------
১৫ জুন, ২০১৪ ফ্রান্স বনাম হন্ডুরাস রাত ১ টা
২০ জুন, ২০১৪ সুইজারল্যান্ড বনাম ফ্রান্স রাত ২ টা
২১ জুন, ২০১৪ হন্ডুরাস বনাম ইকুয়েডর ভোর ৪ টা
২৫ জুন, ২০১৪ হন্ডুরাস বনাম সুইজারল্যান্ড রাত ২ টা
২৫ জুন, ২০১৪ ইকুয়েডর বনাম ফ্রান্স রাত ২ টা

গ্রুপ – এফ
-------------
১৬ জুন, ২০১৪ আর্জেন্টিনা বনাম বসনিয়া ভোর ৪ টা
১৬ জুন, ২০১৪ ইরান বনাম নাইজেরিয়া রাত ১ টা
২১ জুন, ২০১৪ আর্জেন্টিনা বনাম ইরান রাত ১০ টা
২২ জুন, ২০১৪ নাইজেরিয়া বনাম বসনিয়া ভোর ৪ টা
২৫ জুন, ২০১৪ নাইজেরিয়া বনাম আর্জেন্টিনা রাত ১০ টা
২৫ জুন, ২০১৪ বসনিয়া বনাম ইরান রাত ১১ টা

গ্রুপ – জি
-------------
১৬ জুন, ২০১৪ জার্মানি বনাম পর্তুগাল রাত ১১ টা
১৭ জুন, ২০১৪ ঘানা বনাম যুক্তরাষ্ট্র ভোর ৪ টা
২১ জুন, ২০১৪ জার্মানি বনাম ঘানা রাত ১ টা
২২ জুন, ২০১৪ যুক্তরাষ্ট্র বনাম পর্তুগাল রাত ১ টা
২৬ জুন, ২০১৪ যুক্তরাষ্ট্র বনাম জার্মানি রাত ১০ টা
২৬ জুন, ২০১৪ পর্তুগাল বনাম ঘানা রাত ১০ টা

গ্রুপ – এইচ
-------------
১৭ জুন, ২০১৪ বেলজিয়াম বনাম আলজেরিয়া রাত ১০ টা
১৮ জুন, ২০১৪ রাশিয়া বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ভোর ৪ টা
২২ জুন, ২০১৪ দক্ষিণ কোরিয়া বনাম আলজেরিয়া রাত ১০ টা
২৩ জুন, ২০১৪ বেলজিয়াম বনাম রাশিয়া ভোর ৪ টা
২৬ জুন, ২০১৪ দক্ষিণ কোরিয়া বনাম বেলজিয়াম রাত ২ টা
২৬ জুন, ২০১৪ আলজেরিয়া বনাম রাশিয়া রাত ২ টা
---------------------------------------
২য় রাউন্ড
-------------
২৮ জুন, ২০১৪ ১ এ-১ বনাম বি-২ রাত ১০ টা
২৮ জুন, ২০১৪ ২ সি-১ বনাম ডি-২ রাত ২ টা
২৯ জুন, ২০১৪ ৩ বি-১ বনাম ডি-২ রাত ১০ টা
২৯ জুন, ২০১৪ ৪ ডি-১ বনাম সি-২ রাত ২ টা
৩০ জুন, ২০১৪ ৫ ই-১ বনাম এফ-২ রাত ১০ টা
৩০ জুন, ২০১৪ ৬ জি-১ বনাম এইচ-২ রাত ২ টা
১ জুলাই, ২০১৪ ৭ এফ-১ বনাম ই-২ রাত ১০ টা
১ জুলাই, ২০১৪ ৮ এইচ – ১ বনাম জি-২ রাত ২ টা

কোয়ার্টার ফাইনাল
--------------------------
৪ জুলাই, ২০১৪ ৯ ম্যাচ ১ জয়ী বনাম ম্যাচ ২ জয়ী রাত ২ টা
৪ জুলাই, ২০১৪ ১০ ম্যাচ ৫ জয়ী বনাম ম্যাচ ৬ জয়ী রাত ১০ টা
৫ জুলাই, ২০১৪ ১১ ম্যাচ ৩ জয়ী বনাম ম্যাচ ৪ জয়ী রাত ২ টা
৫ জুলাই, ২০১৪ ১২ ম্যাচ ৭ জয়ী বনাম ম্যাচ ৮ জয়ী রাত ১০ টা

সেমি ফাইনাল
--------------------------
৮ জুলাই, ২০১৪ ১৩ ম্যাচ ৯ জয়ী বনাম ম্যাচ ১০ জয়ী রাত ২ টা
৯ ‍জুলাই, ২০১৪ ১৪ ম্যাচ ১১ জয়ী বনাম ম্যাচ ১২ জয়ী রাত ২ টা

৩য় স্থান নির্ধারণী
-------------
১২ জুলাই, ২০১৪ ১৫ ম্যাচ ১৩ পরাজিত বনাম ম্যাচ পরাজিত ১৪ রাত ২ টা

ফাইনাল
-------------
১৩ জুলাই, ২০১৪
বিশ্বকাপের কিছু রোমঞ্চকর তথ্যঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
আমরা দেখতে যাচ্ছি এর ২০ তম আসর।১৯৩০ সালে শুরু হয়ে চলতে চলতে ১৯ টা আসর শেষ করে ২০১৪ সালে এসে ব্রাজিল হচ্ছে ২০ তম আসর।
এর মধ্যে বিশ্বকাপ ফুটবল তৈরি করেছে নানা ইতিহাস, নানা রেকর্ড।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এর কিছু রেকর্ড ও ইতিহাস...............।
প্রথম আয়োজক দেশ : উরুগুয়ে
প্রথম বিজয়ী : উরুগুয়ে
সর্বোচ্চ শিরোপা বিজয়ী দেশ : ব্রাজিল(৫ বার শিরোপা)
সর্বোচ্চ রানার্স-আপ : জার্মানি (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২)
শীর্ষ গোলদাতা : রোনালদো (ব্রাজিল) ১৫ টি
দ্রুততম গোল : হাকান শুকুর (তুরস্ক)
বেশিবিশ্বকাপে অংশনেয়া খেলোয়াড় : Antonio Carbajal (মেক্সিকো ),
Lothar Matthäus (জার্মানি) ৫ বিশ্বকাপ
সর্বোচ্চ গোল্ডেন বুট বিজয়ী দেশ : ব্রাজিল(৫ বার)
সর্বোচ্চ গোল্ডেন বল বিজয়ী দেশ : ব্রাজিল(৭ বার)
সর্বোচ্চ Golden Glove বিজয়ী দেশ : উরুগুয়ে (৩ বার)
সর্বোচ্চ Fair Play Trophy Win দেশ : ব্রাজিল(৪ বার)
বিশ্বকাপ নিয়ে অতীতের কিছু রোমাঞ্চকর তথ্য নিচে উপস্থাপন করা হল।
* বিশ্বকাপের খেলা প্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচার হয় ১৯৫৪ সালে। এ সময় সারা বিশ্বে এটি ছিল সর্বাধিক প্রচারিত ক্রীড়া ইভেন্ট।
* ইতালীয় গোল রক্ষক এবং অধিনায়ক দিনো জফ হচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে নিজ দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৮২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে তিনি ইতালীয় দলের নেতৃত্ব দেন।
* বিশ্বকাপে প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারা খেলোয়াড়টি হচ্ছেন ব্রাজিলের ভালদেমার ডি ব্রিটো। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রথম আসরে তিনি ওই ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
* পেনাল্টি থেকে বিশ্বকাপে প্রথম গোলদাতা হচ্ছেন মেক্সিকোর ম্যানুয়েল রককুইটাস রোসাস। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি।
* কিংবদন্তী ক্রিকেট তারকা স্যার ভিব রিচার্ড হচ্ছেন একমাত্র ক্রীড়াবিদ যিনি ফুটবল ও ক্রিকেট উভয় বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করেছেন। ১৯৭৪ সালে এনিটগুয়ার হয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
* বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে প্রথম অংশগ্রহণকারী এশীয় দল হচ্ছে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ (বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া)। ১৯৩৮ সালে তারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে।
* আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথম খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মিশর। ১৯৩৮ সালে ইতালীতে অনুষ্ঠিত টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল দলটি।
* রাশিয়ার ওলেগ সালেংকো হচ্ছেন প্রথম কোন ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপের একম্যাচে ৫ গোল করার নজীর স্থাপন করেছেন। ১৯৯৪ সালে ক্যামেরুনের বিপক্ষে গোলগুলো করেছিলেন তিনি।
* ১৯৫০ সালে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল পরাজিত হবার শোকে অন্তত ৪ ব্যক্তি শোকাহত হয়ে মারা গেছে বলে খবর রয়েছে।
* একটি ম্যাচও না খেলে বিশ্বকাপের চুড়া›ত পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইসরায়েল। ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে তাদের ৫টি প্রতিপক্ষ দল নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। যাতে ইসরায়েল ওই সুবর্ণ সুযোগটি লাভ করে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত একটি প্লে অফ ম্যাচে খেলতে হয়েছে ইসরায়েলকে। ওয়েলসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে তারা হেরে যায়।
* ২০০৬ সালে জার্মানীতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচে রেফারী গ্রাহাম পুল একবার নয়, দুবার নয়, তিন দফা হলুদ কার্ড দেখানোর পর লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠছাড়া করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড় জসিপ সিমুনিককে।
* ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের আগমুহূর্তে চুরি হয়ে গিয়েছিল জুলিয়েস রিমেট (সাবেক বিশ্বকাপ) টফি। ওয়েস্ট মিনিস্টারের সেন্ট্রাল হল থেকে ট্রফিটি চুরি হয়। একটি ছোট্ট কুকুর শেষ পর্যন্তু চুরি যাওয়া ট্রফিটি সনাক্ত করে। পরে ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পুরস্কার হিসেবে ট্রফিটি একেবারেই দিয়ে দেয়া হয় ব্রাজিলকে। তবে ১৯৮৩ সালে সেটি আবারো চুরি হয়ে যায়, যেটি আজ পর্যন্ত আর উদ্ধার করা যায়নি।
* ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ম্যাচ চলাকালে মার্কিন ট্রেইনার রেফারীকে একটি প্রতিবাদ জানাতে সোজা মাঠের মাঝখান দিয়ে দৌড় দেন। এসময় তিনি তারা ডাক্তারী ব্যাগটি মাটিতে ছুড়ে মারেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত ক্লোরফর্মের বোতলটি ভেঙ্গে গেলে এর প্রভাবে মাঠে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
সাম্প্রতিক নৈপুণ্য বিচারে করা ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার আগে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের নাম। এখন পর্যন্ত পরিসংখ্যানে শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে আছে স্বাগতিক ব্রাজিল। এই তালিকায় তারপরই রয়েছে ইতালি ও জামার্নির নাম। সর্বাধিকবার রানার্সআপ হওয়ার রেকর্ডটি আবার জার্মানির দখলে। এরকম নানা রেকর্ডে ভরপুর ফুটবলের দীর্ঘ ইতিহাস।
সর্বাধিকবার বিশ্বকাপজয়ী দলঃ
১. ব্রাজিল ৫ বার (১৯৫৮,১৯৬২,১৯৭০,১৯৯৪,২০০২)
২. ইতালি ৪ বার (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২, ২০০৬)
৩. জার্মানি ৩ বার (১৯৫৪,১৯৭৪,১৯৯০)
৪. উরুগুয়ে ২ বার (১৯৩০ ১৯৫০)
আর্জেন্টিনা ২ বার (১৯৭৮ ১৯৮৬)
৫. ইংল্যান্ড ১ বার (১৯৬৬)
ফ্রান্স ১ বার (১৯৯৮)
স্পেন ১ বার (২০১০)
সবচেয়ে বেশি রানার্সআপ দলঃ
১. জার্মানি ৪ বার (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২)
২. নেদারল্যান্ড ৩ বার (১৯৭৪, ১৯৭৮, ২০১০)
৩. ব্রাজিল ২ বার (১৯৫০,১৯৯৮)
আর্জেন্টিনা ২ বার (১৯৩৯,১৯৯০)
ইতালি ২ বার (১৯৭০,১৯৯৪)
হাঙ্গেরি ২ বার (১৯৩৮,১৯৫৪)
শ্লোভাকিয়া ২ বার (১৯৩৪,১৯৬২)
৪. ফ্রান্স ১ বার (২০০৬)
সুইডেন ১ বার (১৯৫৮)
সংগ্রহীত

সোমবার, ৫ মে, ২০১৪

জীবনে বড় বড় সফলতার জন্য ছোট ছোট ২০টি টিপস

পেশাগত জীবনে সফলতার জন্য বিশেষজ্ঞরা নিচের ২০টি বাক্য সব সময় মাথায় রাখতে বলেছেন। কাজেই পরামর্শ জানতে ২০টি বাক্য মুখস্থ করে ফেলুন।

১. দিনের পর দিন একটু একটু করে আগের চেয়ে বেখি দয়ালু এবং জ্ঞানী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান।
২. আপনি এবং আপনার পরিবারকে আগের চেয়ে একটু বেশি অর্থ সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং গড়ে তুলতে উৎসাহীত করুন।
৩. ভুলবোঝাবুঝি থেকে রেহাই পেতে মাঝে মধ্যে মহান হওয়ার চেয়ে সব সময়ের জন্য ভালো মন-মানসিকতা নিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
৪. প্রচুর পড়ুন। কোনো কিছুই খুব দ্রুত আপনাকে জ্ঞানী করে তোলে না।
৫. যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ব যতো এগিয়ে যাবে, আপনার খ্যাতি ততো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কেউ না দেখলেও সব সময় সোজা পথে কাজটি করুন।
৬. মনে রাখবেন, আপনি যা করার জন্য অর্থ দেবেন মানুষ তাই করবে। যা করতে বলবেন তা করবে না।
৭. নিজের সম্পর্কে আগের চেয়ে ভালো বোধ করলে যেমন ভালো লাগে, আগের চেয়ে আরেকটু বেশি বিনয়ী হলে তেমনই ভালো লাগবে।
৮. আপনার যেকোনো প্রশ্নের জবাব কারো না কারো জানা রয়েছে। ওই মানুষগুলোকে খুঁজুন।
৯. প্রতিদিনের অসাধ্য চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়ানো মানেই আপনার অহংবোধ ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ। তবে এতে সামান্য মনযোগ ঢালুন। কারণ অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলে তাতে নিজের সামর্থ্য কমে যাবে।
Success2
১০. প্রযুক্তি মাঝে মাঝে আপনার কষ্টের কারণ হয়ে উঠবে। অন্য সময় আবার এটি সাহায্য করবে। তবে বর্তমান সময়ে কী ঘটবে সে সম্পর্কে সজাগ থাকুন।
১১. যে জিনিসগুলো আর বেশিদিন কাজে লাগেব না তার প্রতি মায়া ত্যাগ করুন। এতে অন্যের সাহায্য হবে এবং এতে আপনারও ভালো লাগবে।১২. কাউকে অপছন্দ করে মানে এই নয় যে ওই মানুষটি ভালো নয় বা ভুল পথে চলেন।
১৩. নিজের চিন্তাশীলতার বিষয়ে ধ্যান দিন। কারণ আপনার চিন্তাই শব্দ হয়ে বের হবে এবং তা এক সময় আপনার কাজ হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে।
১৪. কাউকে অন্তত তিনবার সাহায্য না করা পর্যন্ত তার কাছে থেকে কোনো সাহায্য চাইবেন না।
১৫. জীবনে যা আশীর্বাদ পেয়েছেন তা নিয়ে হিসেব করবেন না।
১৬. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার শর্ত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া।
১৭. যতো সহজ-সরলই হোক না কেন, বুদ্ধিটা সিরিয়াসলি নিন।

১৮. নিজের শক্তি ও সামর্থ্যের একচোট বিকাশ ঘটানোর পর সেখানেই একটু স্থিত হোন।
১৯. যে মানুষগুলো চিন্তা করেন না তারা কিছু শোনেনও না।
২০. আপনার আরো অর্থের প্রয়োজন নেই। আপনার অর্থপূর্ণ কিছু আরো প্রয়োজন।

সূত্র : ফোর্বস

শনিবার, ৩ মে, ২০১৪

ইমেল আ্যড্রেস্ খুঁজে বের করার ১১টা সহজ উপায়



বুলবুল আহমেদ যশোর
আমরা যখন ইমেল মার্কেটিং করি তার জন্য প্রয়োজন হয় আমাদের যে কোন ইমেল আ্যড্রেস্‌। আর আমি এখানে ইমলে বলতে কোন বিশেষ ইমেল কে নির্দেশ করিনি যেমনঃ- জিমেইল, ইয়াহু, হটমেল ইত্যাদি। আমি ইমেল বলতে সব ধরনের ইমেল কে বুঝিয়েছি।  কিছুদিন আগে আমি একটা ফেসবুক গ্রুপে একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম যে, সেখানে একজন কে নিয়োগ দেওয়া হব ইমেল আ্যড্রেস্‌ খুঁজে বের করার জন্য,তো আমি আবেদন করলাম সেখানে কিন্তু তিনি আমাকে সেখানে বলা হয়েছিল যে,আমাকে গ্রামীণ ফোন কোম্পানীর CEO এর ব্যক্তিগত ইমেল আ্যড্রেস্‌ খুঁজে বের করে দিতে হবে। তো আমি জানতাম যে এটা অনেক সহজ কাজ কারণ আমার কাছে ছিল একটা সফটওয়্যার যেটা দিয়ে আমি ওয়েব সাইট দিয়ে সার্চ দিলাম কিন্তু আমি যে ইমেল পেলাম সেটা আসলে গ্রামীণ ফোনের CEO এর না। তো আমি যখন ফেল করলাম তখন ভাবলাম কি করে এটা থেকে বের হওয়া যায়। আর তারপর বের করলাম ১২ পদ্ধতি আর আমি সেটা এখন এখানে আলোচনা করব। যেটা পড়লে আমার মতে হয় আপনাদের কারও ব্যক্তিগত ইমেল খুঁজে বের করা অসম্ভব হবে না। তাহলে চলুন শুরু করি ইমেল খোঁজা…………………………..

পদ্ধতি সূমহঃ- 
  1. Google Email
  2. Business Email
  3. Advance Search Operators
  4. Social Media
  5. Whois Lookup
  6. People Search
এখন জানব কেন একজন মানুষের ইমেল আমাদের প্রয়োজন হয়? কি কারণে আমাদের লাগবে তাদের সেই ইমেল আ্যড্রেস্‌?
১. তথ্য শেয়ার করার জন্য
২. ইন্টারভিউয়ের জন্য
৩. কোন ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার জন্য
৪. ব্যক্তিগত ব্লগে লেখার জন্য, সামাজিক যোগাযোগের জন্য ইত্যাদির জন্য……………

আর আমরা এই তথ্যগুলো পায় কোম্পানি Contact Us থেকে কিংবা অন্য কোন স্থান থেকে কিংবা অন্য কোন মাধ্যম থেকে আর আবার অনেক সময় এই তথ্যগুলো পাওয়া যায় না যেমন টা আমি পাইনি।



ইমেল আ্যড্রেস্‌ খুঁজে বের করার ১২ টি উপায়ের নিয়ম শুরু করলাম তাহলে……………………


বুলবুল আহমেদ যশোর

১. নাম দিয়ে গুগল সার্চঃ- প্রথমে আমরা যেটা করব সেটা আমরা ব্যক্তির নাম ধরে সার্চ করব। আমরা যদি ব্যক্তির নাম জানি তাহলে আমরা প্রথমে তার মান দিয়ে গুগলে সার্চ দিব সাধারণত আমরা অনেকের নাম জানি যাদের নাম জানি তাদের নাম দিয়ে সার্চ দিতে হবে। তবে সাধারণত আমরা বায়ারের কাজ করে থাকি তাই আমি বা আপনি ক্লাইন্টের নিকট থেকে তথ্য নিব তারপর আমরা শুরু করব ইমেল আ্যড্রেস্‌ খোঁজা।

সূত্রঃ-
# [name]+email or email address
# [name]+contact  or contact information or contact me
২. নাম ও স্থানের নামঃ- যখন আপনি উপরের উল্লেখিত নিয়ম দিয়ে সার্চ দিয়ে আপনার কাঙ্খিত ইমেল খুঁজে পাবেন না তখন আপনি কি করবেন??? তখন আপনি এই নিয়ম টা ফলোআপ করতে পারেন।
# [name] + “home town”
# [name] + company they work for”

আপনি এখানে আপনার সফলতার ১০% পেতে পারেন। আপনি আপনার সার্চের ক্ষেত্রে আপনি আর ও মডিফা করতে পারেন।  যেমন আপনি আর ও অ্যাডিশনাল ইনফরমেশন অ্যাড করতে পারেন।  

বুলবুল আহমেদ যশোর

৩. ব্যাবসায়িক নেটওয়ার্ক ইমেল আ্যড্রেস্‌ খোঁজাঃ- ধরুন আপনার একটা সফট্যায়ার কোম্পানীর আছে কিংবা  আপনি একজন সফট্যায়ার নির্মাতা তাহলে আপনার প্রয়োজন আপনার সফট্যায়ার বিক্রয় করার তাহলে আপনি বা আপনার ক্লাইটের প্রয়োজন কোন কোম্পানীর ইমেল আ্যড্রেস্‌। আর এর জন্য আমার সেই সমস্ত কোম্পানীর ইমেল খুঁজব সেই সমস্ত কোম্পানীর LinkedIn or Zoominfo থেকে সেখানে আমরা তাদের সঠিক তথ্য বা সঠিক ইমেল খুঁজে পেতে পারি আর আমরা এখানে সফল হতে পারি প্রায় ৯০%

সূত্রঃ-
# [name] + LinkedIn
# [name] + ZoomInfo

ব্যাসিক কোম্পানীর নাম খোঁজাঃ- আপনি যখন কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত ইমেল খুঁজে পেতে সফল হয়েছে তখন আপনি সেই ব্যক্তির বা তিনি যেখানে কাজ করেন সেই কোম্পানীর সম্পর্কে তাদের ইমেল আ্যড্রেস্‌ খুঁজবেন। আপনি এখানে আপনি আর ও সফল ভাবে এটা সেটা খুঁজে বের করতে পারবেন। আমি যেই সফট্যায়ার ব্যবহার করি আপনি ও সেটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন আমি এখানে লিংঙ্কটা দিয়ে দিলাম এতে ক্লিক করে দেখতে পারেন। আপনি যখন এই সফট্যায়ার টা আপনার কম্পউটারে ব্যবহার করবেন তখন আপনি এটাতে উক্ত কোম্পানীর ওয়েব সাইটের নাম ব্যবহার করে সার্চ করুন তাহলে সব ধরণের ইমেল আপনি পেয়ে যাবেন সেটা তাদের Contact ইমেল হিসাবে আছে কিংবা তার চেয়ে আর ও বেশী কিছু।

সূত্রঃ-
#[Name] + email
# [Name] + Contact
 বুলবুল আহমেদ যশোর

৫. ব্যাসিক কম্পানি সার্চ অপশনঃ-  যাই হউক আমার মনে হয় আপনি এতক্ষনে এটা চেষ্টা করে দেখেছেন যে আপনি কি করছেন আর আমি আপনাদের কি করতে বলেছি। হয়ত বা সফল হয়েছে কেউ আবার কেউ বা আমাকে ভূয়া বলতে শুরু করেছেন। যাই হউক এবার আমরা একটা কোম্পানীর ব্যাসিক সার্চটা দেখব। এখন আপনি কি করবেন গুগলে সার্চ ব্যবহার করবেন গুগল ক্রোয়ারি ব্যবহার করে আর যে সূত্রটা লিখবেন টা হল…………….

সূত্রঃ-  
# Site: companywebsite.com + [name] + email
# Site: companywebite.com + [name] + contact
# Site: companywebsite.com + [name] + contact us   
০৬ অ্যাডভান্স কোম্পানি সার্চ অপারেশনঃ- এবার আপনাদের দেখাব যে, আপনি কি করে আর ও ভাল করে একটা প্রতিষ্টানের ইমেল আ্যড্রেস্‌ খুঁজে পাবেন। উদাহরণ স্বরূপ আপনি আমাদের প্রতিষ্টান Advance Institute of Technology এর ইমেল আ্যড্রেস্‌ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, আর আগে আমি যে নিয়ম আপনাদের দেখিয়েছি তা কোন কাজে লাগছে না, অব্যশই না লাগা কোন সম্ভবনা নেই। কারণ আমি আগেই এটা পরিক্ষা করে দিখেছি অব্যশই কাজে আসবে এই সূত্রগুলো। তারপর ও অনেক সময় দেখা যায় যে, এটা কাজে লাগে না তার জন্য এই ব্যবস্থা। এবার আবার দেখাব এই সূত্র আপনাদের কাজে আসবে…………………..
 সূত্রঃ-
# site: companywebsite.com +ken.lyons [at] company.com
#site: companywebsite.com + kenlyone [at] company.com
# site: companywebsite.com + klyone [at] company.com
# site: companywebsite.com + ken [at] company.com
# site: comepanywebsite.com + ken_lyone [at] company.com
আপনি যদি এটা ফলোআপ করেন তাহলে আমি আশা করি আপনি ৮০% সফল হতে পারবেন।

নোটঃ- আমি এখানে “@” এর ব্যবহারের পরিবর্তে  [at] লিখেছি যাতে এখানে কোন প্রকার ব্যাক লিংঙ্ক বা ইমেল অপশন চালু না হয়।


০৭ উদ্দেশ্যহীন ভাবে খোঁজার জন্যঃ-  এখানে আপনাকে দেখাব যে আপনি কিভাবে একটা ইমেল কে খুঁজে বের করেন কোন উদ্দেশ্য ছাড়ায়। বেশী বকবক করব না কারণ আর্টিকেলটা অনেক বড় হতে চলেছে……………

সূত্রঃ-
# Drexel mr/dr/miss/mis. [person’s name] @drexel

এখানে সূত্র মাত্র একটা কিন্তু লাভ অনেক আপনি যদি এটা দিয়ে সার্চ দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে আপনি কি কি পাচ্ছেন একটা সার্চে কারণ আপনি এই সার্চে বোনাস হিসাবে পাচ্ছেন এই ব্যক্তির ফোন নাম্বার ফোন ডাইরেক্টরি থেকে।

 বুলবুল আহমেদ যশোর
এখানে আপনি দেখলেন সাধারণ ভাবে কিভাবে সার্চ দিল ইমেল আসে। এবার দেখাব কি করে সোসাল মিডিয়া থেকে কিভাবে আপনি একজনের ইমেল অ্যাড্রেস্ বের করবেন।

০৮ সোসাল মিডিয়া প্রোফাইল সার্চঃ-  আপনি আমি কিংবা সবাই জানে যারা সাধারণত এই লাইনে আছে আপনি যেহেতু এটা পড়ছেন তার মানে এই যে আপনি সোসাল নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানেন। দেশের অব্যস্থা এমন জায়গাতে দাঁড়িয়ে যে প্রায় প্রতিটা লোকের ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটা Account আছে, আর যেটার মাধ্যমে আমরা সহজে একজন ব্যক্তির ইমেল আ্যড্রেস্‌ খুঁজে বের করতে পারি।

সুত্রঃ-  
# name + facebook
# name + twitter
# name + google plus
# name + naymz

বুলবুল আহমেদ যশোর
০৯ ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট বা ব্লগ সার্চঃ-  বর্তমান সময়ে যেমন প্রতিটা মানুষের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচিত আছে তেমনি এখন বিহির বিশ্বে প্রায় প্রতিটা মানুষ ই এখন তাদের মতামত প্রকাশ করার জন্য ব্লগ বা ওয়েব সাইট তৈরী করছে। কিছু কিছু সাইট আছে তারা যেখানে ফ্রি তে ওয়েব সাইট বা ব্লগ সাইট খুলে থাকে যেমনঃ- গুগলের ব্লাগারস ডম কম কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়ার্ডপ্রেস ডম কম ইত্যাদি।
সূত্রঃ-
# site: personalblog.com + [name] + email
# site: personalblog.com + [name] + contact
# site: personalblog.com + [name] + contact me
# site:personalblog.com + kenlyons [at] personalblog.com
# site: personalblog.com + ken.lyons [at] personalblog.com
# site: personalblog.com + klyons [at] personalblog.com
# site: personalblog.com + ken [at] personalblog.com
# site: per sonalblog.com + ken_lyons [at] personalblog.com

১০. Whois সার্চঃ- এটা হচ্ছে সেই সার্চ যার মাধ্যমে আপনি একটা ওয়েব সাইট কে বা কার নামে রেজিস্টেষন করা তার ইমেল ইনফরমেশন পাবেন আপনি এই সার্চ থেকে সরাসরি ওয়েব হোস্টিং ডাইরেক্টরি থেকে।

১১. ১২৩ পিপল সার্চঃ- www.123people.com এই ঠিকানা থেকে আপনি একজন মানুষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সে কি করে থাকে কোথায় ইত্যাদি। আপনি চায়লে এখান থেকে একটা নিদির্ষ্ট জায়গা ও নির্বাচন করে সার্চ করতে পারেন। যেমন আপনি যার নামে সার্চ দিয়েছেন তিনি থাকেন আমেরিকার নিউ ওয়ার্ক সিটি তে তাহলে আপনি এই সাইটে আপনি স্থানের অপশনে NY দিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনি আর ও সহজে উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে আর ও তাড়াতাড়ি তথ্য পেতে পারেন।

 বুলবুল আহমেদ যশোর

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৪

একজন কমবয়সী সফল আইটি ব্যক্তির বক্তব্য শুনুন, অনুপ্রেরনা পাবেন

একজন কমবয়সী সফল আইটি ব্যক্তির বক্তব্য শুনুন, অনুপ্রেরনা পাবেন

ভারতেএডুকেশন সিস্টেম ইন ইন্ডিয়াশীর্ষক একটি সেমিনার বসে ২০০৩ সালে ব্যাঙ্গালুরু সেমিনার শুরু হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি গাড়ি এসে ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গেটে দাড়াঁয় বাইরের সিকিউরিটি গার্ডরা ভেবেছিল কোনো প্রতিষ্ঠানের সিইও হয়ত এসেছেন এজন্য এগিয়ে যেতেই দেখলেন গাড়ির ভেতর থেকে ১৭ বছর বয়সের একটি ছেলে বেড়িয়ে এল সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে বাধা পায়। তাকে জানানো হয়, সেমিনারে অংশ নিতে হলে কোনো প্রতিষ্ঠানের সিইও হতে হবে। কোনো কলেজ পড়ুয়ার জন্য সেমিনার না। বিড়ম্বনায় পড়ে ছেলেটি ফোন দেয় সেমিনার উদ্যোক্তাদের। তারা এসে ছেলেটিকে স্বাগতম জানায়। আর ওদিকে সিকিউরিটি গার্ডরা হতভম্ব!
ছেলেটির নাম সুহাস গোপিনাথ। ব্যাঙ্গালোরের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান গ্লোবালের সিইও এবং একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট। সুহাস বিশ্বে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধান নির্বাহী হিসেবে উল্লেখযোগ্য একটি নাম
কে এই সুহাশ? এত কম বয়সে কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল! এমন প্রশ্ন সবার ভেতরই আসতে পারে। তার সেই গল্প সে নিজেই করেছিল এক সাক্ষাৎকারে। পরে তা একটি গল্প আকারেই অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশ পেয়েছে। অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো গল্প অনুবাদ করে স্বপ্নযাত্রার পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়া হলো
আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। বাবা ইন্ডিয়ান আর্মিতে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করতেন। এজন্য এয়ার ফোর্স স্কুলেই আমি পড়াশোনা শুরু করি। ছোটবেলায় থেকে পৃথিবীর প্রাণীকূল নিয়ে আগ্রহবোধ করতাম। কিন্তু সেই বয়সে আমার বন্ধুরা সারাদিন কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকতো। তাদের কাছে গল্প শুনতাম। এই যন্ত্রটির প্রয়োজনীয়তার কথা শুনে বাবার কাছে একটা কম্পিউটার কেনার আবদার করলাম। সেই সময়টাতে কম্পিউটারের দাম অনেক বেশি ছিল। তাই কেনার সামর্থ্য বাবার ছিল না
পরে ভাবলাম বাসার কাছে সাইবার ক্যাফে আছে, সেখানে গিয়েই কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক। আমি প্রতিদিন সাইবার ক্যাফেতে যেতাম। আমি বিস্মিত হতাম। অদ্ভুত যন্ত্রটি দিয়ে করা যায় না এমন কিছুই যেন নেই। আমি ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত হলাম। নিজে নিজেই ব্রাউজ করা শিথলাম
বিভিন্ন সাইটে গিয়ে ঘুরে আসতাম। তখনই হুট করেই মনে হলো, ব্রাউজ করার জন্য আমরা যে ওয়েব সাইটটি দেখতে পাই সেটা বানানোর কৌশলটা কিভাবে রপ্ত করা যায়। ব্রাউজ করেই তখন একটি -বুক খুঁজে পেলাম। বইটি পড়ে পড়ে হালকা কাজও করতাম
আমি টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানেই কাটাতাম। কিন্তু সেই টাকার পরিমাণ অল্প ছিল বলে আরও সময় থাকতে পারতাম না। তখনই খেয়াল করলাম সাইবার ক্যাফেটি দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আমি  এরপর সাইবার ক্যাফের মালিককে একটি প্রস্তাব দিলাম। তাদের বললাম, আমি সময়ে আপনার ক্যাফেতে কাজ করবো। আপনার গ্রাহকদের খেয়াল করবো। সেজন্য কোনো টাকা নয়, আমাকে অফুরন্ত সময় ফ্রি ব্রাউজিং করতে দিতে হবে
আমার কথা শুনে মালিক প্রথমে অবাক হয়ে গেল। তিনি আমাকে কাজ করার অনুমতি দিলেন। এটাকে আমার জীবনে প্রথম কোনো ব্যবসায়ীক ডিল বলতে পারেন। যদিও এখানে টাকাটা মূল বিষয় ছিল না। মূল বিষয় ছিল আমার আগ্রহ
সুযোগ পেয়েই আমি কাজে নেমে পড়লাম। আমি নিজেই পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করতে শুরু করলাম। এরপর ওয়েবসাইট তৈরি করাই আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গেল। শুরু করলাম ফ্রি-ল্যান্সিংয়ের কাজ। যখন আমি প্রথম কোনো ওয়েব সাইট তৈরি করার প্রস্তাব পেলাম তখনও আমি ছোট
ফ্রিল্যান্স মার্কেটে নিবন্ধন করারও বয়স হয়নি। এজন্য ওয়েবসাইট বিল্ডার ক্যাটাগরিতে আমি নিজের নাম নিবন্ধন করলাম। খুব কম খরচে আমি প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি করে দেই। তা বানিয়ে একশ ডলার আয়ও হয়
কিন্তু বয়সে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই বাবাকে সব বিষয়ে বলতে হলো। এর আগ পর্যন্ত বাবা কিছুই জানতেন না। বাবাকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা বোঝালাম। আমার বাবা বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে কিছুই বললেন না। আমাকে খুশী মনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিলেন
আমার কাছে টাকা এসে পৌছালো। কিন্তু কোনোভাবেই অর্থ আমাকে টানছিল না। কারণ আমার কাছে শেখার আগ্রহটা বড় ছিল। মনে হচ্ছিল এখনও অনেক কিছু শেখার আছে। এমনও বহু ওয়েবসাইট সেসময় আমি তৈরি করেছি একদম ফ্রিতে। অনেক প্রতিষ্ঠান আমার কাছ থেকে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়েছে
ধীরে ধীরে মনে হলো নিজের একটা পোর্টফোলিও থাকলে ভালো হয়। তাই নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করি। যেখানে আমার স্কিল সম্পর্কে উল্লেখ ছিল। এরপরই বহু প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা শুরু করে
আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন কম্পিউটার কেনার টাকা জোগাড় হয়ে যায়। কিন্তু সে সময় আবার আমার বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শুরু করল। তাই বাবাই কষ্ট করে ভাইয়ার জন্য কম্পিউটার কিনে ফেলল। তাই আমার আর কিনতে হয়নি। তখন কিছু মজার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান আমাকে চাকরির প্রস্তাব দেয়। তখন আমার বয়স সবে ১৪
একটি নেটওয়ার্ক সলিউশন প্রতিষ্ঠান আমাকে বলে, তোমার পড়ার সমস্ত খরচ আমরা দেব। তুমি এখানে পার্টটাইম কাজ করবে এবং পড়াশোনা করবে। কিন্তু ততদিন আমি বিল গেটস আমার আদর্শ হয়ে উঠেছে। কারও জন্য কাজ নয়, নিজেই কিছু করার ইচ্ছা আমার ভেতর তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। সেজন্য সেই চাকরির প্রস্তাব তখন গ্রহণ করিনি
শুরুতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে গেলেই সবাই আমার বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলতো। এজন্য নিজের প্রতিষ্ঠান শুরু করি। তারপর সবাইকে বোঝাতে চাই, কাজটাই আসল। বয়স আর শিক্ষাগতযোগ্যতা এখানে মূখ্য নয়। এমনকি আমার প্রতিষ্ঠানে নীতিতেই আছে, কাজ জানলেই যেকোনো তরুণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবে। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা বয়স কোনো মূখ্য বিষয় নয়
ক্লাস নাইনের সামার ভ্যাকেশনেইগ্লোবালনাম দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান শুরু করি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন হয়। ভারতে নিবন্ধন করতে গেলে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স লাগে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে নিজের প্রতিষ্ঠান চালু করতে লাগে ১৫ মিনিট। আমার এক বন্ধুকে দিয়ে নিবন্ধন করাই। সে গ্লোবালের একজন বোর্ড মেম্বার
অবাক কান্ড! আমি একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও! আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই। প্রথমদিন থেকেই আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমার প্রতিষ্ঠান হবে মাক্রোসফটের মতো বিখ্যাত।
বাবা-মাকে কিছুই জানাইনি। পুরো বিষয়টি আমি গোপন রাখলাম। কারণ তারা শুনলেই বলবেন, পড়াশোনার ক্ষতি হবে। আমি কাজ শুরু করলাম। প্রথমে ওয়েবসাইট তৈরি, অনলাইন শপিং এবং -কমার্স সলিউশন দিয়ে শুরু করি। আমরা অনেক প্রোগ্রামারকে পার্টটাইম জব দিয়েছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচুর কাজ পেতাম তখন। মজার বিষয় ছিল, আমাদের তখনও কোনো অফিস ছিল না
আমি খেয়াল করলাম ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বড় আইটি মার্কেট। যেটা একদমই ফাঁকা। আমি সুযোগ নিলাম। বেশ কয়েকটা স্প্যানিশ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তারা আমাকে লিখে পাঠালো, ভারতীয়রা স্প্যানিশ াষায় একদম কাঁচা। তাই আমাদের কাজ দেওয়া যাবে না। কথাটা প্রচণ্ড গায়ে লাগলো। তখন আমার বয়স ১৭। এতো কম বয়সী একজন মানুষকে হারানো কঠিন। যতই শক্তিশালী হন না কেন আপনি
আমি সঙ্গে সঙ্গে স্পেনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র জোগাড় করলাম অনলাইনে যোগাযোগ করে। তাদের বললাম, তোমরা আমার জন্য কাজ করো। তোমাদের সফলতার ওপরই সম্মানি নির্ধারণ হবে। তারপর আমাদের আজ পেছনে তাকাতে হয়নি। একই পদ্ধতিতে আমরা ইতালির মার্কেটও ধরে ফেলি
আমার জন্ম নভেম্বর, ১৯৮৬। আর আমার প্রতিষ্ঠান শুরু হলো যখন বয়স ১৭। আমি প্রযুক্তিকে শেখার চেষ্টা করি। আমি কখনই মনে করি না আইটি কোনো টেকনোলজি। আমি মনে করি আইটি হলো বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের টুলস। স্লোগান নিয়েই গ্লোবাল ধারণার জন্ম
বলতে গেলে একটি সাইবার ক্যাফে থেকে গ্লোবাল তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলাম। তখনও টাকাটা আমার কাছে মূখ্য ছিল না। আমি কাজ করতে চাইতাম। শিখতে চাইতাম। আগ্রহ মানুষকে বদলে দিতে পারে। জানার আগ্রহটাই বড়। টাকার পেছনে ছুটলে সারাজীবন শুধু এর পেছনেই ছুটে যেতে হয়। তাই কাজটাই আসল। নিত্যনতুন বিষয় শেখাটাই জীবনের সেরা অর্জন